রাস্তার পাশের একটা ছাপড়া হোটেলের সামনে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে চারটি ক্ষুধার্ত কুকুর। হোটেলের ভেতর থেকে কেউ রুটি কিংবা বিস্কুটের টুকরো ছুঁড়ে দেবে এই আশায় ওরা অপেক্ষা করছে সকাল থেকে । কিন্তু ভাগ্যদেবি বোধহয় আজ ওদের প্রতি খুব একটা সদয় নয়। দুপুর হতে চললো কিন্তু ওদের ভাগ্যে এখনো জোটেনি কিছুই। তারপরও তাদের ধৈর্যে কমতি নেই, 'সবুরে মেওয়া ফলে' নীতিতে বিশ্বাসী ওরা।
মেওয়া উড়ে এলো একেবারে হঠাৎ করে। হাওয়ায় ভর করে ফ্লাইং সসারের মতো একটা রুটি উড়ে এসে পড়লো ওদের মাঝখানে। মুহূর্তের মধ্যে রাগবি খেলোয়াড়দের মতো গোল হয়ে দাঁড়ালো ওরা রুটিটাকে ঘিরে। একে অপরকে মাপছে শঙ্কিত দৃষ্টিতে। চারজনেরই লক্ষ একমাত্র রুটিটার উপর।
সহসা একটা কুকুর সাহসের পরিচয় দিলো। বাকি তিন কুকুরের অস্তিত্ত্ব পুরোপুরি উপেক্ষা করে ঝাঁপ দিলো রুটি লক্ষ করে। কিন্তু ততোক্ষণে অন্য কুকুরদের মধ্যে একতা চলে এসেছে : তিন কুকুর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়লো হানাদার কুকুরটার উপর। এই যৌথ আক্রমণ সহ্য করতে পরলো না কুকুরটা। কুঁইকুঁই করে নিজেকে প্রতিযোগিতা থেকে প্রত্যাহার করে নিলো সে।
এখন লড়াই তিন কুকুরের মধ্যে। একটা কালো,দ্বিতীয়টা লাল এবং তৃতীয়টা সাদাকালোর মিশেল। তিন কুকুরই লোভী দৃষ্টিতে চেয়ে আছে রুটিটার দিকে। কিছুক্ষণ আগের সেই একতাভাব এখন উদাও। পেটে ক্ষুধা,চোখের সামনে খাবার; ধৈর্যের লাগাম বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পরলো না কালো কুকুরটা। আস্তেআস্তে অগ্রসর হতে শুরু করলো সে রুটির দিকে। কিন্তু বাকি দুই কুকুর টের পেয়ে গেছে তার মতলব। দু’জনের মধ্যে আবারো সঞ্চারিত হলো মৈত্রীভাবঃ ফলাফল - কেলে আউট ।
এখন প্রতিযোগী মাত্র দুজন। এই দু’জনের যে-কোনো একজনের ভাগ্যে জুটবে রুটিটা । গরর-গরর আওয়াজ করছে দুটোই। একে অপরের শক্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছে লাফ দেওয়ার আগে। এবার সাদাকালো কুকুরটিই লাফ দিলো সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে। লড়াই চললো বেশ কিছুক্ষণ। কামড়াকামড়িতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হলো লাল কুকুরটা।
খুশিতে আকাশের দিকে মুখ তুলে বিকট এক চিৎকার দিলো সাদাকালো। তারপর রাজকীয় ভঙ্গিতে হেলেদুলে এগিয়ে গেলো রুটির দিকে। মুখ নামিয়ে রুটিটা তুলে নিতে যাবে,এমন সময় কোথা থেকে সাঁই করে উড়ে এলো একটা কাক। সাদাকালো কুকুরটা কিছু বুঝে ওঠার আগেই রুটিটা ঠোঁটে তুলে উড়াল দিলো কাকটা। কিংকর্তব্যবিমূঢ় যুদ্ধজয়ী কুকুরটা অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো উড়ে যাওয়া কাকটির গমনপথের দিকে।
...................
মেওয়া উড়ে এলো একেবারে হঠাৎ করে। হাওয়ায় ভর করে ফ্লাইং সসারের মতো একটা রুটি উড়ে এসে পড়লো ওদের মাঝখানে। মুহূর্তের মধ্যে রাগবি খেলোয়াড়দের মতো গোল হয়ে দাঁড়ালো ওরা রুটিটাকে ঘিরে। একে অপরকে মাপছে শঙ্কিত দৃষ্টিতে। চারজনেরই লক্ষ একমাত্র রুটিটার উপর।
সহসা একটা কুকুর সাহসের পরিচয় দিলো। বাকি তিন কুকুরের অস্তিত্ত্ব পুরোপুরি উপেক্ষা করে ঝাঁপ দিলো রুটি লক্ষ করে। কিন্তু ততোক্ষণে অন্য কুকুরদের মধ্যে একতা চলে এসেছে : তিন কুকুর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়লো হানাদার কুকুরটার উপর। এই যৌথ আক্রমণ সহ্য করতে পরলো না কুকুরটা। কুঁইকুঁই করে নিজেকে প্রতিযোগিতা থেকে প্রত্যাহার করে নিলো সে।
এখন লড়াই তিন কুকুরের মধ্যে। একটা কালো,দ্বিতীয়টা লাল এবং তৃতীয়টা সাদাকালোর মিশেল। তিন কুকুরই লোভী দৃষ্টিতে চেয়ে আছে রুটিটার দিকে। কিছুক্ষণ আগের সেই একতাভাব এখন উদাও। পেটে ক্ষুধা,চোখের সামনে খাবার; ধৈর্যের লাগাম বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পরলো না কালো কুকুরটা। আস্তেআস্তে অগ্রসর হতে শুরু করলো সে রুটির দিকে। কিন্তু বাকি দুই কুকুর টের পেয়ে গেছে তার মতলব। দু’জনের মধ্যে আবারো সঞ্চারিত হলো মৈত্রীভাবঃ ফলাফল - কেলে আউট ।
এখন প্রতিযোগী মাত্র দুজন। এই দু’জনের যে-কোনো একজনের ভাগ্যে জুটবে রুটিটা । গরর-গরর আওয়াজ করছে দুটোই। একে অপরের শক্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছে লাফ দেওয়ার আগে। এবার সাদাকালো কুকুরটিই লাফ দিলো সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে। লড়াই চললো বেশ কিছুক্ষণ। কামড়াকামড়িতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হলো লাল কুকুরটা।
খুশিতে আকাশের দিকে মুখ তুলে বিকট এক চিৎকার দিলো সাদাকালো। তারপর রাজকীয় ভঙ্গিতে হেলেদুলে এগিয়ে গেলো রুটির দিকে। মুখ নামিয়ে রুটিটা তুলে নিতে যাবে,এমন সময় কোথা থেকে সাঁই করে উড়ে এলো একটা কাক। সাদাকালো কুকুরটা কিছু বুঝে ওঠার আগেই রুটিটা ঠোঁটে তুলে উড়াল দিলো কাকটা। কিংকর্তব্যবিমূঢ় যুদ্ধজয়ী কুকুরটা অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো উড়ে যাওয়া কাকটির গমনপথের দিকে।
...................
৬টি মন্তব্য:
ভাইয়া সুন্দর হয়েছে লেখাটি।পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যেন কি হচ্ছে চোখের সামনে দেখতে পারছিলাম।এতই জীবন্ত লাগছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ,টক্স। আচ্ছা, তুমি কি সামহোয়্যারইন ব্লগে লেখো?
ভালো থেকো।
airokom hoitho manuser jiboneo goote
airokom hoitho manuser jiboneo goote
airokom hoitho manuser jiboneo goote
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন